মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১ ১৭ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
Bangladesh Total News
এম মনির চৌধুরী রানা:চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রাতের আঁধারে দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে চরম উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
২১শে জানুয়ারী বৃহস্পতিবার ভোররাতে শাকপুরা চৌহমুনী বাজারে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় ভুক্তভোগী মোহরম আলী বাদী হয়ে শাকপুরা ইউনিয়নের, পশ্চিম শাকপুরা গ্রামের মৃত আনু মিয়ার ছেলে নুর মোহাম্মদ(৫২) জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ইসতিয়াক নোমান(৩৪) সারোয়াতলী ইউনিয়নের খিতাপ চর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলমের ছেলে জিয়াউল হাসান (৩০) পশ্চিম শাকপুরা এলাকার মৃত আনু মিয়ার ছেলে আবদুল হাকিম (৫৩) চরখিজিরপুর এলাকার মোঃ ইসমাইলের ছেলে মোঃ রুস্তম আলী (৩২) মোঃ ইসমাইল কন্ট্রাক্টর (৪৪) সহ ৬ জন ও অজ্ঞাতনাম আরো ১০/১২ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন তার মালিকানাধীন মুদির দোকান, সেলুন ও সাইকেল পার্টসের দোকানের আর্থিক ক্ষতির লক্ষে বিভিন্ন বিভিন্ন কুট কৌশল করে আসছিল আসমিরা।
এ নিয়ে সে সময় তিনি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে আসামীরা মামলা তুলে নিতে তাকে নানা ভাবে হুমকি ধমকী দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার শেষ রাতে পরিকল্পিতভাবে উক্ত আসামীগণ অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে অবৈধভাবে দোকানে প্রবেশ করলে কর্মচারী আবুল কাশেম বাধা দিলে তাকে মেরে জখম করে দুর্বৃত্তরা ।
পরে তারা ১০টি দুধের কাটুন, ২৫টি চাউলের বস্তা যার মূল্য এক লক্ষ টাকা, সেলুন ও সাইকেল পার্টসের দোকানের তালা ভেঙ্গে জিনিসপত্রদি ভাংচুর করেন যার মূল্য ৪ লক্ষ টাকা ও কর্মচারী আবুল কাশেমের ব্যবহৃত ৫ হাজার টাকার মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ সময় দোকানের কর্মচারী আবুল কাশেমের আত্নচিৎকারে এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসতে দেখে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্হানীয়রা আহত কাশেম কে
উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করান।বোয়ালখালী থানার ওসি বলেন,শাকপুরা এলাকায় দোকান ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা রুজু করে আসামী গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।