শুক্রবার, ৫ মার্চ ২০২১ ২০শে ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
Bangladesh Total News
এম মনির চৌধুরী রানা:কৃষি ও ফসল উৎপাদনে উপজেলার পোপাদিয়াস্হ চরই বিলের ঐতিহ্য কার না অজানা। কিন্ত এক শ্রেণির ভূমি খেকো প্রভাবশালীদের কারণে চাষাবাদে গুরুত্বপূর্ণ বিলটি সেই ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এখন ।দীর্ঘদিন যাবৎধরে বন্ধ রয়েছে এ বিল ও আশপাশের প্রায় ১শ একর জমির চাষাবাদ। এ নিয়ে এখানকার ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা প্রতিকার চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে।
তাদের অভিযোগ সেই বাপ দাদার আমল থেকেই যুগযুগান্তরে এ বিলে চাষাবাদ করে পরিবারিক ব্যয় নির্বাহ করে আসছিলেন তারা। বছরের অন্যান্য সময় ধান ও শুস্ক মৌসুমে নানা জাতের শাক-সব্জির আবাদ ও উৎপাদনে এ বিলের জুড়ি নেই।অভিযোগ রয়েছে স্হানিয় এক শ্রেণির অসাধু লোক এখানে সস্তায় জমি কিনে তাতে পুকুর খনন, দালানকোঠা, ও নানান স্হাপনা নির্মাণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
এতে করে এখানে একদিকে যেমন সরকারের সুনির্দিষ্ট আইনকে বৃদ্ধাংগুলি দেখানো হচ্ছে ঠিক অপরদিকে নালা,খাল ও কালভার্ট দখল করে অপরিকল্পিতভাবে স্হাপনা নির্মাণের কারণে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফলে এ বিলের বেশিরভাগ জমিতে চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ ধরে।বাকী যৎসামান্য জমিতে যেটুকু অবশিষ্ট ছিল সেটুকু ও এখন বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আশীষ দে নামের এক কৃষক বলেন এক সময় এ বিলে বোরো রোপা আমন ও রবি মৌসুমে চাষাবাদ হতো। রবি মৌসুমে এ বিলে পেলন,মুগ ও মশর ডাল সহ নানান জাতের শাক-সব্জির চাষ হতো।কিন্তু পানি চলাচল ও নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সাথে-সাথে এগুলার চাষাবাদ ও বন্ধ হয়ে গেছে। রতন কুমার দেব নামের অপর এক কৃষক খুবই আক্ষেপ করে বলেন – কৃষি বান্ধব বর্তমান সরকার কৃষিকে প্রাধান্য দিয়ে কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে যেখানে একের পর এক যুগান্তকারী প্রদক্ষেপ নিচ্ছেন সেখানে গুটিকয়েক প্রভাবশালীর কারণে ঐতিহ্যবাহী এ বিলে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে তা মানা যায় না।বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন স্হানীয় এলাকাবাসির পক্ষ হতে একটি অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আমি স্হানীয় ইউ পি চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে বিলটি ইতোমধ্যে পরিদর্শণ করেছি। এলাকার কৃষকরা এসব জমিতে যাতে নিশ্চিন্তে চাষাবাদ করতে পারে সে ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।